শাকসবজির : বেগুন, টমেটো, ঢেঁড়স, চুকুর, ক্যাপসিকাম, শিম, বরবটি, শসা, করলা, লাউ, ধুন্দল, বারোমাসী সজিনা, লালশাক, ডাঁটাশাক, পুঁইশাক, কলমিশাক, ব্রোকলি, মুলা।
গাছের বৃদ্ধি ভালো হলে বছরে একবার সার দিলে হবে না। বর্ষাকালের আগেও ঠিক একই ভাবে পুনরায় সার দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে টব বা ড্রামের মাটি যাতে না শুকিয়ে যায়। টবের মাটি কখনো শুকিয়ে গেলে নিয়ম করে সেচ দিয়ে নিতে হবে।
সমতল মাটিতে চাষ করা যায় তবে সবচেয়ে ভালো হয় বেড তৈরি করা হলে। এক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার উচু ও ১ মিটার প্রস্ত বেড তৈরি করতে হবে। চারা রোপনের ক্ষেত্রে এক চারা থেকে অন্য চারার দুরুত্ব হতে হবে ২০ – ৪০ সেন্টিমিটার এবং এক বেড থেকে আরেক বেডের দুরুত্ব হবে ৩০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার। বাংলাদেশের পেক্ষাপটে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর স্ট্রবেরি চারা রোপনের জন্য উপযুক্ত সময় হলেও তা ডিসেম্বর অব্দি দীর্ঘায়িত হয়ে থাকে। সারের ব্যবহার ভালো ফলনের আশা করে থাকলে স্ট্রবেরি চাষের জন্য নিয়মিত এবং যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে সার প্রয়োগের প্রয়োজন রয়েছে এক্ষেত্রে জমিতে হেক্টরপ্রতি ৩০ টন পচা গোবর, ২৫০ কেজি ইউরিয়া, ১৭৫ কেজি টিএসপি, ২০০ কেজি এমওপি, ১১৫ কেজি জিপসাম, ১২ কেজি বরিক এসিড ও ৮ কেজি জিংক সালফেট সার প্রয়োগ করার নির্দেশনা দেয়া হয়ে থাকে।
চন্দ্রমল্লিকার ফুলের চাষ ও তার রোগ দমনের উপায়
খুব সহজে অল্প জায়গা ও সল্প পুজি নিয়েই আপনি স্ট্রবেরি চাষ এর কাজ শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার প্রথমেই বেশ কিছু ব্যাপারে জেনে নিতে হবে সেগুলো হলো:
ছাদের আকার ও অবস্থান : ছাদের আকার ছোট, মাঝারি বা বড় হতে পারে। এ আকার বিবেচনায় ছাদের কোন অংশে, কি কি, কত সংখ্যক বিভিন্ন ফল, সবজি, মসলা ও ঔষধি গাছ চাষ করা যাবে তা শুরুতেই নির্ধারণ করা প্রয়োজন। নির্ধারিত ছাদ কত তলা বিশিষ্ট, আশপাশে কত তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং বা বড় আকারের গাছপালা আছে, সারা দিনে সেখানে আলো-বাতাস বা রোদ পাওয়ার সুবিধা বিবেচনায় বাগান সৃষ্টি করতে হয়। ছাদের অবস্থান অতি উঁচু হলে ঝড়-বাতাসের প্রভাব বেশি পড়ে। এজন্য বেশি লম্বা আকারের ফল গাছ ছাদে রোপণ করা ঠিক হবে না। এমন অবস্থানে গাছ হেলে পড়া, ডাল ভেঙে যাওয়া, ফল ঝরে পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এজন্য এক্ষেত্রে গাছকে ছেঁটে রেখে বেশি ওপরের দিকে বাড়তে না দেয়া ভালো।
গাছের রোপণ ও পরিচর্যা : উন্নত কাঙিক্ষত জাতের কলম করা গাছ রোপণ করে গাছে কাঠি বা খুঁটি দিয়ে সোজা করে রাখতে হবে। তাতে গাছ হেলে পড়া বা নড়ে গিয়ে দুর্বল হওয়া রোধ হবে। প্রয়োজনে গাছের অপ্রয়োজনীয় কিছু ডাল বিশেষ করে ওপরের দিকে বেশি বাড়ন্ত ডাল কমিয়ে গাছকে বেশি উঁচু না করে পাশে বাড়তে সহায়তা দিতে হবে। গাছের আকার বেশি ছোট হলে অপেক্ষাকৃত ছোট টবে বা সিমেন্টের পরিত্যক্ত তৈরি ব্যাগে কিছু সময় সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে বড় হলে তা পর্যায়ক্রমে বক্স/বড় টবে রোপণ করা ভালো। টবে সংরক্ষিত গাছ সরাসরি ছাদে না রেখে নিচে এক সারি ইটের ওপর বসানো দরকার। তাতে more info টবের অতিরিক্ত পানি সহজে বের হবে, ছাদের জন্য ভালো হবে। ড্রামে সংরক্ষিত গাছে রোদের তাপে বেশি গরম হয়। এজন্য চট/ছালা দিয়ে ড্রামের চারধার ঢেকে দিলে তা অনেকটা রোধ হবে। গাছে পানি সেচ দেয়ার ফলে উপরিভাগের মাটি শক্ত হয়ে চট ধরে। মাঝে মাঝে নিড়ানি দিয়ে ওপরের স্তর ভেঙে দেয়া হলে তা রোধ হবে। এ ব্যবস্থায় আগাছা দমন করা যাবে ও ভেতরে বায়ু চলাচল সুবিধা হবে। খরা মৌসুমে দীর্ঘমেয়াদি বড় গাছের গোড়ার চার ধারে শুকনা কচুরিপানা বা খড়কুটা, শুকনো পাতা দিয়ে মালচিং দেয়া হলে রস সংরক্ষিত থাকবে, ঘাস গজানো রোধ হবে এবং পরে এগুলো পচে খাদ্য হিসেবে কাজে লাগবে।
যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে হতে পারে সারের সংকট
ইসরায়েলে হাজার বছরের পুরনো মসজিদের সন্ধান
জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ সুনিষ্কাশিত দো-আঁশ ও বেলে মাটি চন্দ্রমল্লিকা চাষের জন্য উপযোগী। মাটির পিএইচ ৬.০-৭.০ হওয়া জরুরি।
মূলত এই ফল বাংলা কার্তিক-অগ্রাহায়ণ মাসে রোপন করতে হয় যা ফল পাওয়া যায় প্রায় চৈত্রের মাঝামাঝি পর্যন্ত। স্ট্রবেরি একটি দামি ও পুষ্টিকর ফল সেজন্য এর বাজারে চাহিদা সারা বছরই থাকে।
ইচ্ছে করলেই শহরবাসী ফলের বাগান বা সবজি বাগান করতে জমি পান না। তাই বিকল্প উপায় বের করে আবাদি জমি নষ্ট না করে ছাদকে কাজে লাগিয়ে বাগান করা যায়। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বিকল্প আয়ের উৎস হতে পারে এই ছাদে বাগান যা পরিবারকে করবে স্বচ্ছল।
পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে পারে ‘বারি পাতা পেঁয়াজ-১’
ধারাবাহিক ফল ও সবজির চাষের পাশাপাশি কৃষক নজরুল স্ট্রবেরি চাষ করে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। স্বল্প খরচে অল্পদিনেই অধিক অর্থ আয়ের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে তিনি এখন প্রতি বছর স্ট্রবেরি চাষ করে আসছেন। ৫০০ চারা দিয়ে এক বিঘাতে শুরু করা ফলের বাগান এখন তিন বিঘায় পরিণত হয়েছে। মৌসুমের প্রথম দিকে স্বল্প ফলন হলেও ভরা মৌসুমে প্রতি বিঘা থেকে প্রতিদিন তিন থেকে চার মণ করে স্ট্রবেরি ফল উত্তোলন করেছেন তিনি।